কিভাবে ভারত থেকে মোটরসাইকেল আমদানি করবেন?
সব বয়সের মানুষেরই মোটর সাইকেল/বাইক এর প্রতি একটা আদিম নেশা বা ঝোঁক রয়েছে। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে এই মোটর সাইকেল/বাইক কেনা এক ধরনের স্বপনের মতো কারণ আমাদের দেশে মোটর বাইক তৈরি/উৎপাদন করার মতো কোন প্রতিষ্ঠান নেই, যার দরুন আমাদের অন্য দেশ থেকে এই মোটরবাইক আমদানি করতে হয়, আর এই আমদানি করা গাড়ির উপর যে পরিমান ট্যাক্স দিতে হয় তা এতোই বেশি যে সব মিলিয়ে মধ্যেবিত্তদেরও মোটরবাইক কিনতে একটু হিমশিমই খেতে হয় বটে তারপর আবার যে শো-রুমে থেকে বাইকটি কিনলেন তারা অবশ্য লাভ রেখেই দাম নির্ধারণ করবে।
তাই আজকের আর্টিকেলে আপনাদের মোটামোটি একটি ধারণা দিতে চাই, আশা করি অনেকাংশেই সাহায্য করবে, যদি আপনি ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে নিজের জন্য কোন বাইক ইমপোর্ট/আমদানি করতে চাচ্ছেন।
শুরু করার আগে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি, যা অনেকের মনেই ঘোড়পাক খায়ঃ
১) নিজের ব্যাবহারের জন্য আমদানি করতে পারব নাকি ব্যাবসায়ীক উদ্দেশ্যে ?
উত্তরঃ দুটোই পারবেন।
২) সর্বোচ্চ কত সিসি/CC মোটর বাইক আমদানি করতে পারব?
উত্তরঃ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৬৫ সিসির বাইক আমদানি করতে পারবেন।
৩) মাঝে মাঝ অনেকেই দেখি ১৬৫ সিসির উপরের মোটরবাইক চালাচ্ছে, কিভাবে সম্ভব?
উত্তরঃ যাদের ১৬৫ সিসির উপরের মোটর সাইকেল চালাতে দেখা যায়, তারা পুলিশ, আবার যদি কারো বিশেষ অনুমুতি থাকে বা সরিকারি নিলাম থেকে কিনে এমন বাইক যেটি ১৬৫ সিসির উপরে তাহল সেও চালাতে পারবে।
৪) কোন পথে ভাতর থেকে মোটরসাইকেল আমদানি করতে পারব?
উত্তরঃ ভারত থেকে যশোর এর বেলাপোল কাষ্টম দিয়ে মোটরসাইকেল আমদানি করতে পারবেন।
৫) কলকাতা থেকে বাইক কিনে বেনাপোল এ বাইক আনতে ভাড়া কত লাগে?
উত্তরঃ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১৫,০০৳ খরচ পড়বে।
৬) ইন্ডিয়া থেকে কি পুরাতন মোটরবাইক আমদানি করতে পারব?
উত্তরঃ হ্যাঁ পারবেন, তবে যে এমন মোটরবাইক যার বয়স ৩(তিন) বছরের নিচে। সেক্ষেত্র PSIC লাগবে, PSIC এর মাধ্যমে কাষ্টম বুঝতে পারবে আসলে গাড়িটি কত বছরের পুরাতন।
মোটর সাইকেল আমদানি করতে হলে হলে প্রথমেই আপনাকে আমদানি লাইচেঞ্জ করতে হবে, আমদানি লাইচেইঞ্জ করারা জন্য অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স লাগবে (ট্রেড লাইচেইঞ্জের আনুমানিক খরচ ৪/৫ হাজার টাকা)
আমদানি নিবন্ধন করতে সর্বোনিম্ন ৫,০০০৳ থকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬০,০০০৳ বার্ষিক আমদানির ধরন অনুযায়ী। নিচে একটি ছবিতে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
আমদানি সংক্রান্ত ফিস |
আমদানি লাইচেঞ্জ করার পরের ধাপগুলোঃ
১) প্রথমে ইন্ডিয়ার/ভারতের মোটরসাইকেল বিক্রেতা/সেলারের সাথে দর-দাম ঠিক করতে হবে, দর-দাম ঠিক হয়ে গেলে বিক্রেতা আপনাকে পি-আই(PI) প্রদান করবে যেটির পূর্ণরুপ Proforma Invoice
২) এই PI এর কাগজ দিয়ে ব্যাংক থেকে এলসি(LC) করতে হবে। LC হলো বিশ্বব্যাপি গ্রহনযোগ্য টাকা পরিশোধ করার পদ্ধতি, যার ফলে কেউ কারো টাকা মেরে প্রতারণার সুযোগ থাকে না।
৩) এইগুলো ঠিকঠাক মতো করতে বিক্রেতা/সেলার আপনাকে মোটরবাইক পাঠাবে, আপনি যে বন্দর দিয়ে নিতে চান।
৪) এখন আমদানির সকল পেপার ব্যাংক থেকে নিয়ে যে কোন C&FK কে দিতে হবে, তারাই আপনার হয়ে সকল প্রকার কাজ সম্পন্ন করে আপনার বাইকটি আপনাকে বুঝিয়ে দিবে। তারপর আপনাকে আপনাকে আমদানি করা বাইকটি BRTC থেকে পরিক্ষা করিয়া নিয়ে হবে।
৫) তারপর ১৫১% ট্যাক্স + ১% রেফারেন্স ভ্যালু ট্যাক্স দিতে হবে।
মোটরবাইক আমদানির ক্ষেত্রে সর্বোমোট ভ্যাট কত টাকা পরে??
আমদানি-রপ্তানি কারক
মোঃ শফি উল্লাহ।
ফেইজবুকে মেসেজ দিতে এখানে ক্লিক করুন
[আমদানি করতে চান, তবে এই ব্যাপারে যেকোন সাহায্য নামে আমদানি কারকের ফেইজবুক আইডি দিলাম, আমদানি লাইচেইঞ্জ করতেও যত প্রকার সাহায্য লাগবে করবে।
কথা-বার্তা বলে নিজেদের মধ্য সব কিছু ঠিক করে নিন]
বিঃদ্রঃ তথ্যগুলো শুধু আপনাদের ভালোভাবে বুঝানোর জন্য, নিজ দায়িত্বে কাজ করাবেন, কোন প্রকার ক্ষতিতে এই সাইট দায়বদ্ধ থাকবে না।
Labels: Business idea
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home